ধর্ষণ মামলার রায় জালিয়াতি, চারজনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ
ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলার এক রায়ের সার্টিফায়েড কপি জালিয়াতির ঘটনায় আসামি কবীর বিশ্বাসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, কোনো আইনজীবী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ আতিয়ার রহমানের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নিম্ন আদালত ধর্ষণের আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আসামি নিম্ন আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি জালিয়াতি করে উচ্চআদালতে আপিল ও জামিনের আবেদন করেন। এ ঘটনায় নথি দেখে হাইকোর্টের সন্দেহ হলে আদালত নথি তলব করে। পরে দেখা যায়, আসামি নিম্ন আদালতের নথি জালিয়াতি করে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। আপিলে বলা হয়, আসামি কবির বিশ্বাসের সাজা হয়েছে সাত বছর। অথচ এ মামলায় একমাত্র সাজা যাবজ্জীবন। এতে আদালতের সন্দেহ হয়। শুনানি শেষে আসামি কবির বিশ্বাস, কারা কনস্টেবল বিশ্বজিৎ ও খাইরুল এবং তদবিরকারক চান্দালির বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।