পণ্য পরিবহণ ও সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডাক ও রেলওয়েকে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ডাকের মাধ্যমে পচনশীল পণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণভবন থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভার্চুয়ালি ডাক ভবন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ উদ্বোধন এবং মাগুরায় রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।

এ সময় ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত নতুন রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী মুজিবনগর পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া আমের মৌসুমে সারা দেশে আম পৌঁছে দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডাক বিভাগের সেবা রেলের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশ যাতে পৌঁছায়, এ ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বা শিল্পের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা, রপ্তানি করা সবক্ষেত্র অনেক বেশি সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। অনলাইনে কেনাবেচা হচ্ছে, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। রেল এসবের জন্য একটা বড় মাধ্যম। এর মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ করা যাচ্ছে। কাজেই রেল পরিবহণকে আরও উন্নত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’

এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত বহুতল ডাক ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ খাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারের উদ্যোগ উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সারা দেশে সাড়ে আট হাজার ডাকঘর ডিজিটালে রূপান্তর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পচনশীল জিনিস, অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল, তৈরি তরকারি—এগুলোও যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায়। আমি যেন মনে করি, রান্না করে এখান থেকে আত্মীয়কে খাবার পাঠাব, সেটাও যেন পাঠাতে পারি। সেজন্য কুলিং সিস্টেমটা খুব দরকার, অর্থাৎ সেই ধরনের টেম্পারেচার বা ফ্রিজিং সিস্টেম করা, যাতে সেখানে জিনিস নষ্ট না হয়। সেভাবেই ডাকের সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।’

একই সঙ্গে মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন তিনি।