দেশে আর নিম্নমানের কাজ হবে না : এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে আর কোনো নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষ থেকে দেশের ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজখবর নিতে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে অনলাইনে এক সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ ছোট বা বড় যেকোনো প্রকল্প নেওয়া হোক, তা মানসম্মত ও টেকসই হতে হবে। মানুষকে উন্নয়নের সুফল দিতে হলে যেকোনো কাজ টেকসই ও কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে হবে।’
গুণগত মানসম্পন্ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে গিয়ে কেউ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলে তাঁর মন্ত্রণালয় তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আর কোনো নিম্নমানের কাজ করতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এবং সমস্যার সম্মুখীন হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছরই বর্ষাকালে অতিবর্ষণ এবং উজান থেকে পানি এসে অনেক চরাঞ্চলে তলিয়ে যায়। এতে করে বাড়িঘর, ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। এসব মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান যোগ দেন।
বন্যা মোকাবিলা-সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সমন্বয় করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় এবং বন্যাকবলিত সকল জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এ ছাড়া বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং পানিভর্তি ক্যান বিতরণের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি বগুড়া, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় অস্থায়ী নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রস্তুত রেখেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। চাহিদা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ আছে।
বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাওয়া নলকূপ জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার জেলা ও উপজেলা আছে বলেও সভায় জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।