দুই মাস পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দুমাসের বেশি বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে আন্তনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ও ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’, ঢাকা-সিলেট রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটের ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’, ঢাকা-রাজশাহী রুটের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটের ‘লালমনি এক্সপ্রেস’, ঢাকা-সিলেট রুটের ‘উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-খুলনা রুটের ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ চলবে।
সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীরা ট্রেনে উঠছেন। শরীরের তাপমাত্রা মেপে, জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ও পা পরিষ্কারের পর ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনে কোনো খাবার দেওয়া হবে না। বার্থ শ্রেণিতে দেওয়া হবে না বালিশ-কম্বল। ট্রেনের ভেতর হাঁটাচলা ও অন্য বগিতে যাওয়া যাবে না। টয়লেট ব্যবহার করতে হবে নিয়ম মেনে। ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে আসতে হবে। এ ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে ঢুকতে পারবেন না। অসুস্থ ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
ঢাকার যাত্রীদের কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে হবে। ভিড় এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দর, টঙ্গী ও জয়দেবপুর স্টেশনে কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে না। নির্দিষ্ট দরজা দিয়ে ট্রেনে উঠতে ও নামতে হবে।
অনলাইনে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে ট্রেনের টিকেট ছাড়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ যাত্রী বলছেন, টিকেট ছাড়ার পর তারা সার্ভারে ঢুকতে পারেননি। সার্ভারে ঢুকতে পারলেও কেবিন ও উচ্চ শ্রেণির টিকেট পাননি।
রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ সময়ের তুলনায় মাত্র সাড়ে ৯ শতাংশ টিকেট ছাড়া হয়েছে। তাই সংকট থাকাই স্বাভাবিক।