দুই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
তিন হাসপাতালে ঘুরে যমজ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় জারি করা রুল শুনানিতে মতামত জানতে চার অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, আইনজীবী শাহদীন মালিক, মনজিল মোরসেদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের একজন সিনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞ।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক, শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ শফি আহমেদের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের উপপরিচালকের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম এসব প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর অসুস্থ যমজ নবজাতকদের কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি, তার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে তিন হাসপাতাল ঘুরে যমজ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
একইসঙ্গে অসুস্থ জমজ নবজাতকদের হাসপাতালে ভর্তি করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারী আবুল কালামের স্ত্রী ২ নভেম্বর সকালে অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালের নেওয়ার উদ্দেশে বের হন। যাওয়ার পথে রাস্তায় সিএনজিতে যমজ সন্তান প্রসব করেন আবুল কালামের স্ত্রী সায়েরা খাতুন। পরে মুগদা ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করেন। একপর্যায়ে মুগদা হাসপাতাল তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করে। শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারা ভর্তি নেয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবজাতকদের নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও ভর্তি নেয়নি। অবশেষে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই মারা যায় যমজ নবজাতকদ্বয়। এরপর দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে ন্যায় বিচার চাইতে হাইকোর্টে আসেন তাদের বাবা আবুল কালাম। এরপর বিষয়টি হাইকোর্ট নজরে নিয়ে আজ আদেশ দেন।