দিনের পর দিন গৃহবধূকে নির্যাতন, পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
মুন্সীগঞ্জে যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা দিতে না পারায় আঁখি আক্তার লাবণী নামের এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁর হাত-পা বেঁধে ফিনাইল খাওয়ানো ও হাতের নখ উপড়ে নেওয়ার মতো নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনে গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে পালিয়ে গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এরপর গৃহবধূ তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে স্বজনরা শনিবার বিকেলে তাঁকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় গত সোমবার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী রফিকুল ইসলাম হৃদয়, শ্বশুর রুহুল আমিন ভূঁইয়া, শাশুড়ি শান্তি বেগম, দেবর রিফাত ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সরকারি রামপাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী লাবণী সুখবাসপুর গ্রামের মো. রহিম শেখের মেয়ে।
মুন্সীগঞ্জ সদরের কাজিরকসবা গ্রামে গৃহবধূর লাবণী ও রফিকুল ইসলাম হৃদয়ের এক বছরের সংসার।
গৃহবধূর স্বজনরা জানান, বিয়ের এক বছরের মধ্যে পরিবারে অশান্তি নেমে আসে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা যৌতুকের কারণে লাবণীকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। অত্যাচারের ফলে এখন চোখে দেখতে পারেন না তিনি। গত বছর দুবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাত-পা বেঁধে ফিনাইল খাইয়ে নির্যাতন করে। একাধিকবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি হতে হয়েছে। এ ছাড়া লাবণীর হাতের নখ উঠিয়ে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতনের ব্যাপারে নিজের পরিবারের লোকজনকে কিছুই বলতেন না লাবণী। স্থানীয় থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়। গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে মেয়ের পরিবারের লোকজন গতকাল মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।