দিনাজপুরে পাইকারি আম আনতে গিয়ে মাদারীপুরের ট্রাকচালক খুন
মাদারীপুর থেকে দিনাজপুরে পাইকারি আমের চালান আনতে গিয়ে ট্রাকচালক আরিফকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সহযোগীরা, এমন অভিযোগ স্বজনদের। আজ শনিবার তাঁর লাশ মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। নিহত আরিফ শিকদার (৩৪) মাদারীপুর শহরের তরমুগরিয়া এলাকার লিটন শিকদারের ছেলে।
স্বজনরা জানান, মাদারীপুর শহরের তরমুগরিয়া এলাকার ব্যবসায়ী আলী আকবার খানের ছেলে স্বপনের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার রাতে ট্রাকে করে রাজশাহীতে আমের চালান আনতে যান চালক আরিফ শিকদার ও চালক নাজিব। পরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরিফের পরিবার থেকে মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে সঙ্গে থাকা স্বপন ও নাজিব জানায়, আরিফ অসুস্থ, পরে কথা বলবে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে পরিবারের লোকজন দিনাজপুরে পৌঁছলে জানানো হয়, আরিফ মারা গেছেন। তাঁর মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজে রাখা আছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে পরিবারের লোকজন আরিফের মরদেহ রংপুর মেডিকেলের সামনে রাখা দেখতে পান। এ সময় তড়িঘড়ি করে স্বপন ও নাজিব অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহটি মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। পরে শনিবার দুপুরে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেয়ে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। দুই চালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে আরিফকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আলী আকবার খান ও তাঁর ছেলে স্বপন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন। আর পলাতক আরেক চালক নাজিব।
এদিকে ব্যবসায়ী আলী আকবার খান দাবি করেন, আরিফ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।
নিহত আরিফের মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ একটি পুরাতন অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালের বাইরে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। আর কোন হাসপাতালে আরিফকে ভর্তি করা হয়েছে, কী কী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কিছুই আমাদের জানানো হয়নি।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আরিফের পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।