দাবি আদায়ে রাস্তা দখল করে আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দলের নেতাকর্মীদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিএনপি ঘোষিত ভোলা জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম মাতব্বরকে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের শেষ দিকে দলের নেতাকর্মীরা ‘হরতাল, হরতাল’ বলে স্লোগান দিতে থাকলে তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে রাস্তা দখল করো, তারপর হরতাল দিও। তোমাদের আগে রাস্তা দখল করতে হবে।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সকল অঙ্গ সংগঠন বিক্ষোভ করবে।’

শিক্ষাখাত, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যখাত সব ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এখন আর সময় দেওয়া চলবে না। এখন আর সময় নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’

সরকারপ্রধানের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। পুরোপুরিভাবে ফ্যাসিবাদী, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘শতকরা ৪২ জন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। মানুষ দুবেলা খেতে পায় না, হাহাকার করছে।’ 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া কথা বলছেন? হারিকেন ধরানোর সময় পাবেন না। আপনাদের সময় শেষ।

ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।