তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিক্রয় সহকারী সৈয়দ আয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী শাহানা বিলকিসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
আজ সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল তিতাস কর্মকর্তা সৈয়দ আয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শাহানা বিলকিসের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুদক থেকে নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে শাহানা বিলকিস ওই বছরেরই ৬ মে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
ওই বিবরণীতে তিনি বলেন, ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের অস্থাবরসহ মোট এক কোটি ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৪০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দেন। দুদকের অনুসন্ধানেও একই অর্থমূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৪০ টাকা এবং পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা। পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট আয় বা সঞ্চয় পাওয়া যায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৪০ টাকা। এর বাইরে এক কোটি তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তি অর্জনে বৈধ কোনো উৎস অনুসন্ধানকালে পাওয়া যায়নি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে শাহানা বিলকিস ব্যবসা ও জমি চাষাবাদ করে এসব অর্থ আয় করেছেন বলে দাবি করলেও ট্রেড লাইসেন্সসহ সংশিষ্ট ব্যবসার এবং কৃষি আয়ের সপক্ষে গ্রহণযোগ্য কোনও প্রমাণাদি অনুসন্ধানকালে তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি তার স্বামী তিতাস কর্মকর্তা সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ নিজের হেফাজতে রেখে বৈধ করার উদ্দেশ্যে একে অপরকে সহায়তা করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।