তালা দিয়ে ঘরের বাইরে স্বামী, আগুনে পুড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি দোতলা টিনশেড ঘরে আগুন লেগে শম্পা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছেন। এছাড়া ভয়াবহ ওই আগুনে বাড়িটির ২০টি ঘর পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মুসলিমনগর এলাকায় এ আগুন লাগে।
নিহত শম্পা বেগমের বাড়ি জামালপুরে। তিনি ও তাঁর স্বামী সুমন মিয়া ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীর পাশে ক্রোনি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। চলতি মাসে তারা ওই ঘরটি ভাড়া নিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ শেষে ক্লান্ত ছিলেন শম্পা বেগম। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সন্ধ্যায় স্ত্রী ঘুমিয়ে থাকায় স্বামী সুমন মিয়া মাগরিবের নামাজ পড়তে ঘরের দরজায় বাইরে দিয়ে তালা লাগিয়ে মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। এ সময় হঠাৎ ওই ঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তে আগুন পুরো টিনশেড ঘরটিতে ছড়িয়ে পড়ে। নামাজ শেষে এসে দেখেন ঘর আগুনে পুড়ছে। সে সময় তালা খুলতে গিয়ে সুমনের হাতের কিছু অংশ পুড়ে যায়। এর মধ্যে ঘরের ভেতরে অবরুদ্ধ শম্পা বেগম বের হতে না পেরে আগুনে দগ্ধ হন। আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও ফতুল্লা বিসিক ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা এসে প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ সময় দগ্ধ শম্পা বেগমকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ফতুল্লা থানার পুলিশ এসে শম্পার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ফায়ার সার্ভিসের ফতুল্লা বিসিক স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজল মিয়া বলেন, আগুনের ঘটনায় এক নারী নিহত ছাড়া আর কেউ হতাহত হয়নি। দোতলা টিনশেড বাড়িটিতে ২০টি ঘর ছিল। আগুনে সবগুলো ঘরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ টাকা হতে পারে।
বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে জানান কাজল মিয়া।