তরুণীকে হত্যার পর অটোরিকশা থেকে রাস্তায় নিক্ষেপ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী থেকে এক তরুণীর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া সড়কের চকরিয়ার কোনাখালীর মরংঘোনা এলাকায় সড়ক থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত চম্পা খাতুন (১৯) কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার নয়াপাড়ার নছিমন চালক রুহুল আমিনের মেয়ে ও রামু উপজেলার তেচ্ছিপুল এলাকার শাহ আলমের স্ত্রী। পাঁচ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।
হত্যার শিকার তরুণীর পারিবার জানায়, চম্পা লকডাউন শুরুর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফুফুর বাসায় বেড়াতে যান। মা-বাবার জন্য মন কাঁদায় শত নিষেধের পরও বুধবার লকডাউন ঝুঁকিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়ে চকরিয়ার কোনাখালী এলাকায় হত্যার শিকার হন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, রাতে কোনাখালীর রাস্তার ওপর একটি মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে তাঁর জবাই করা মরদেহটি ফেলে দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িতেই হত্যা করে ওই জায়গায় ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গাড়ি ও হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।