ঢাকা ওয়াসার এমডির আরো ৩ বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরো তিন বছর বাড়ানোর জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে বোর্ড সভা। আজ শনিবার রাতে বোর্ডের দুজন সদস্য এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জানিয়ে বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বোর্ডের সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরো তিন বছর বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। শিগগিরই তাঁকে আবার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’
শাবান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ওই সুপারিশপত্র পাঠাবেন। প্রধানমন্ত্রী সিগনেচার করলে নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।’
জানতে চাইলে ওয়াসা বোর্ডের আরেক সদস্য হাসিবুল হাসান মানিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা জুমের মাধ্যমে বোর্ড সভায় বসেছিলাম। সভায় এমডি তাকসিম এ খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হুসাইন এবং সচিব শারমিন হক আমিরসহ নয়জন বোর্ড সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সবার সিদ্ধান্ত নিয়ে এমডির মেয়াদ আরো তিন বছর বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।’
এমডির নিয়োগের বোর্ড সভায় এমডি উপস্থিত থাকতে পারেন কিনা-এমন প্রশ্নে হাসিবুল হাসান মানিক বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি থাকতে পারেন না। কিন্তু তিনি ছিলেন। পরে আমি নিজে বোর্ড সভায় সভাপতি ও সরকার দলীয় সাবেক সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে প্রশ্ন করেছিলাম, যার নিয়োগের জন্য বোর্ড সভা, তিনি সেই সভায় থাকতে পারেন কিনা? পরে সভাপতি আমাকে বললেন, তিনি দেখছেন। কিন্তু পরেও তিনি (তাকসিম এ খান) উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁর ভিডিও অফ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সব শুনছিলেন।’
এবারও যদি তাকসিম এ খান ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তাহলে সেটা হবে একই পদে তাঁর ষষ্ঠবারের মতো নিয়োগ। ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর চার দফায় তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর তাঁর পঞ্চমবারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে গত বৃহস্পতিবারের এক নোটিশে আজ বিশেষ বোর্ড সভার আয়োজন করা হয়। সভার একমাত্র আলোচ্য বিষয় ছিল তাকসিম এ খানকে আরো তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো।