ড. কামালের সরকার উচ্ছেদের বক্তব্য রাস্তার ভাষা : ওবায়দুল কাদের
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন বিএনপির সমাবেশে সরকার উচ্ছেদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না, সেটা রাস্তার ভাষা।’ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করা হলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় ড. কামালের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি একটা ব্যাপারে খুবই ব্যথিত ও দুঃখিত। আমরা রাজনীতি করি, রাজনীতির একটা ভাষা আছে। প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার রাজনীতির ভাষা আছে, গণতন্ত্রেরও ভাষা আছে। কিন্তু এর সীমা তাঁরা গতকাল সমাবেশে ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ ব্যথিত। ড. কামাল হোসেন কীভাবে সমাবেশে রাস্তার ভাষা ব্যবহার করলেন। তিনি কী করে বললেন, সরকারকে লাথি মেরে নামাবেন, সরকারকে লাথি মেরে বাংলাদেশ ছাড়া করবেন? এটা রাস্তার ভাষা, গণতন্ত্রের ভাষা নয়।’
এ সময় সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা কোনো রাজনৈতিক মামলা না। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার সুযোগ নেই। এটা আদালতের ব্যাপার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলা। পর্যায়ক্রমে মামলার কাজ চলছে। এবং মামলা বিলম্বিত হওয়ার জন্য তারা নিজেরাও কম দায়ী নয়। সময় মতো আদালতে হাজিরা তাঁরা দিতেন না। অনেক আগেই এ মামলার ব্যাপারে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল।’
আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, আবারও বলছি, আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আন্দোলনের নামে যদি জ্বালাও-পোড়াও এবং কোনো সহিংস পদক্ষেপ নিতে চান, তাহলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাও মুখে আঙুল নিয়ে চুষবে না। জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য বাস্তব পরিস্থিতি তাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি এই তিনটি সেতু জাপানের সহায়তায় আধুনিক ও যুগোপযোগী করে চার লেনে নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানি কোম্পানি জাইকা আজ এই সেতু তিনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করল। সেতু তিনটির কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে সম্পদ করায় এক হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা সেভ হয়েছে।’ এ জন্য জাপানি কোম্পানি জাইকাকে ধন্যবাদ জানান সেতুমন্ত্রী।
চার লেন বিশিষ্ট এই সেতু তিনটির মাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ সম্ভব এবং সহজ হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।