ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া নিয়ে ব্যর্থতা : বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
চলতি বছর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ঢাকার জেলা জজ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবকে এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি এ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রুলের শুনানিকালে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট এ বছর সারা দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে কতজন মারা গেছেন, সেই সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে গতকাল ১১ নভেম্বর এ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
এর আগে গত ১৪ জুলাই আদালত তাঁর আদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একই সঙ্গে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের রোগে নাগরিকদের আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
পরে ওই বিষয়ে দুই সিটির পক্ষ থেকে গত ২২ জুলাই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু সেই প্রতিবেদনে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করলে গত ২৫ জুলাই তাঁরা সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ আগস্ট ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপকভাবে ওষুধ ছিটানো ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।