ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘কবরে’ পাঠাতে বললেন ডা. জাফরুল্লাহ
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে, সব তুলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘কবরে’ পাঠাতে বললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকনেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের সত্য অনুসন্ধান করার সুযোগ দিন। তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব তুলে নিন। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। তাহলে আপনার ও দেশের লাভ হবে। দেশ গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা খেয়াল করেছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের আহ্বান করেছেন, কোনো প্রকার ইয়োলো সাংবাদিকতা যেন না হয়। কিন্তু ইয়োলো জার্নালিজম তো, আপনি সৃষ্টি করছেন প্রধানমন্ত্রী। মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকরা হলেন সত্য অনুসন্ধানী। সব সময় সত্য প্রকাশ করেন তাঁরা। আপনার সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলো সাংবাদিকরা। তাঁরা প্রকৃত তথ্যকে আপনার সামনে তুলে ধরেন। সেই সাংবাদিকদের কণ্ঠ যখনই রোধ করেন, তখনই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ১৪ নভেম্বর নয়, আজকেই তাঁকে মুক্তি দিন। সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়ে বলুন, সত্য কথা বলুন ও প্রকাশ করুন। তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হবে। অন্যথায় ক্রমেই দেশ জঙ্গিবাদের দিকে যাবে। আর এর দায় আপনাকেই নিতে হবে প্রধানমন্ত্রী।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্মিলিতভাবে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
এদিকে সমাবেশ চলাকালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অসুস্থ বোধ করেন। এরপর অসুস্থতা নিয়েই চেয়ারে বসে তিনি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। বক্তব্য শেষ পর্যায়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বেশি অসুস্থ বোধ করলে নিজস্ব গাড়িতে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।