ডাক্তাররা কেন চিকিৎসা করবে না, এটা খুব দুঃখজনক : প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের রোগী সন্দেহে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন চাকমার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার বলেছেন, এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
গণভবন থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের একজন ছাত্র, সে যেকোনোভাবে রোগে আক্রান্ত হয়, কিন্তু সে যখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায়, কোনো ডাক্তার পায়নি চিকিৎসা করতে। এটা সত্যিই খুব কষ্টকর, সত্যিই খুব দুঃখজনক যে, ডাক্তাররা কেন চিকিৎসা করবে না।’
‘তবে আমি বলব যে, আমাদের প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমাদের সবাই খুব আন্তরিকভাবে কাজ করেছে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১২৩ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ১২। বেশিরভাগই বয়স্ক। বেশিরভাগই যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের ডায়াবেটিস ছিল, হার্টের সমস্যা ছিল, শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন তাঁরা।
করোনাভাইরাসের রোগী সন্দেহে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল চিকিৎসা না দেওয়ায় গতকাল সোমবার খাগড়াছড়িতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইইআর-এর শিক্ষার্থী সুমন চাকমা রাত সাড়ে ৮টায় মারা যান। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম শিক্ষার্থী পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সুমন ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন এবং বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ১১ মার্চ অসুস্থ বোধ করায় তাঁর বন্ধু তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘তিনি (সুমন চাকমা) কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত সন্দেহে চার হাসপাতালের সবগুলোই তাঁকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।’
পরে গত ১৮ মার্চ বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম শিক্ষার্থী পরিষদের সদস্য সুমনকে ঢাকা থেকে গ্রামে নেওয়া হয়।
ঢাবি প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী জানান, সুমন ক্যানসারে ভুগছিল এবং গতকাল সোমবার রাতে মারা গেছে।