টিকা নিয়েছি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই : সাংসদ নেছার
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ নেছার আহমেদ করোনার টিকা নেওয়ার ২৫ মিনিট পরে বলেছেন, ‘টিকা নিয়েছি, এখন পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। করোনার টিকা অন্যান্য টিকার মতোই।’ আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে টিকা নেওয়ার পরে তিনি একথা বলেন।
নেছার আহমেদ বলেন, ‘আমি সম্মানিত নাগরিকদের আহ্বান করছি দেশ, সমাজ ও জনগণের স্বার্থে সবাই যেন নির্ভয়ে করোনার টিকা নেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথী দত্ত, প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ সালাম, সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আহমেদ ফয়সল জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ডা. এম আহাদসহ স্বাস্থ্যকর্মী শিক্ষক, নার্সসহ সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধারা।
সর্বশেষ হিসাব মতে, জেলায় করোনার টিকা নিতে পাঁচ হাজার ৭৫৪ জন নিবন্ধন করেছেন। আজ জেলায় সব মিলিয়ে ৮১৬ জনের টিকা নেওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন কারণে বুথে না আসায় ৪২৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ২৯৭ জনের মধ্যে ২০৪ জন, রাজনগরে ৫০ জনের মধ্যে ৩০ জন, কুলাউড়ায় ৩৯ জনের মধ্যে ২০ জন, বড়লেখায় ১০০ জনের মধ্যে ৬৪ জন, শ্রীমঙ্গলে ২০০ জনের মধ্যে ৭৯ জন, জুড়ীতে ৩০ জনের মধ্যে ১০ জন ও কমলগঞ্জে ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন টিকা নিয়েছেন।
আজ থেকে শুরু হয়ে চলতি মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১২ দিন চলবে টিকাদান ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। প্রতিদিন এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ জন ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হবে। তবে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করছেন বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, মানুষের কিছু অজানা আতঙ্ক কাটানোর জন্য আমি নিজেসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, প্রেসক্লাব সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষকরা টিকা নেই।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গতকাল শনিবার সকালে জেলার ছয়টি উপজেলায় করোনার টিকা ও সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছে। প্রথম ধাপে জেলায় ৬০ হাজার টিকা এসেছে। সিরিঞ্জ এসেছে ৬৪ হাজার ৮০০টি। প্রথমপর্যায়ে ৩০ হাজার মানুষকে এ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।