টঙ্গীতে ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তরা বিভাগ।
টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকার তিস্তা গেটের আনোয়ার সিলিং এবং পপুলার ঔষধ ফ্যাক্টরির সামনে জাকিরের ভাঙারির দোকানে গতকাল সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—জাকির হোসেন, মো. সবুজ, মো. ওমর ও মো. ওসমান গনি স্বপন। এর মধ্যে জাকির হোসেন ডাকাত লালন-পালনকারী বলে উল্লেখ করেছে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডাকাতি করা একটি স্বর্ণের চেইন, নগদ ১৪ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি লোহার তৈরি চাপাতি, দুটি সেলাই রেঞ্জ, একটি স্ক্রু ড্রাইভার ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গত ৫ এপ্রিল গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরখানের ভাটুলিয়া এলাকার একটি বাসায় পাঁচ ডাকাত গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে। এরপর তিন লাখের বেশি টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মোট আট লাখের বেশি টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।’
হাফিজ আক্তার আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় পরদিন বাসার মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরখান থানায় একটি ডাকাতির মামলা করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।’
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ডাকাতির এ ঘটনায় ডাকাতেরা কোনো প্রযুক্তিগত ডিভাইস ব্যবহার না করায় ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে প্রথম থেকে অনেকটা বেগ পেতে হয়। কিন্তু, গোয়েন্দা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এক পর্যায়ে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে একটি গ্রুপকে শনাক্ত করে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির দাবি, জাকির হোসেন ডাকাতদের লালন-পালনকারী। তাঁর নির্দেশেই অন্যরা ডাকাতি করে থাকে। ডাকাতির পর সব অর্থ ও মালামাল জাকির নিয়ে নেন। বিনিময়ে তিনি তাঁদের পরিবারের দেখাশোনা ও মাদকের টাকা সরবরাহ করে থাকেন।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবির প্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা এর আগে অসংখ্য ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তাঁরা স্বীকার করেছেন।’