ঝালমুড়ি খেয়ে অসুস্থ, স্কুলছাত্রী দুই বোনের মৃত্যু
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় ঝালমুড়ি খেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে সাথী (১৪) ও বীথি (১০) নামের স্কুলছাত্রী দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে গত শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে সাথী এবং গতকাল শনিবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিথি মারা যায়।
তাদের মারা যাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসক বা সংশ্লিষ্টরা সঠিক কোনো কারণ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়া অথবা ভাইরাস সংক্রমণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
সাথী ও বিথি পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শহীদ প্রামাণিকের মেয়ে। এদের মধ্যে সাথী অষ্টম শ্রেণির ও বিথি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সাথী ও বীথি। এরপর তারা বমি শুরু করে। বাড়ির সদস্যরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মনে করে দুই বোনকে প্রথমে গ্রামের পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান। তাদের মধ্যে বীথির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর শুক্রবার রাতে সাথী নিজ বাড়িতে এবং গতকাল শনিবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে বীথিও মারা যায়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহম্মদ আলী বলেন, ‘দুই বোনের মৃত্যুর খবর স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনেছি। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি কীভাবে এবং কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আল আকসার আনন জানান, স্বজনরা তাদের জানিয়েছেন ঝাল মুড়ি খাওয়ার পরে দুই বোন অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে, ঘটনা খতিয়ে দেখতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. লুলুওয়াল মারজানের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ডা. লুলুওয়াল মারজান বলেন, ‘সাথী ও বীথির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, স্থানীয়দের মধ্যে তাদের দুই বোনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদেরও আমরা পরীক্ষা করেছি। তবে, তাদের অসুস্থতার কারণ মানসিক ভীতি। তেমন গুরুত্বর কিছু নয়। আমরা এলাকাবাসী সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে পরিষ্কার পানি পান ও খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি।’