ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীর পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় বিষখালী নদীর পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনো তলিয়ে আছে উপজেলার ২০টি গ্রাম। পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে ফসলের ক্ষেত, উপড়ে পড়েছে অসংখ্য ডালপালা, ভেঙে গেছে প্রায় ৩০টি বসতঘর।
এ ছাড়া এখনো উপজেলায় অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি। নদীতীরের বাসিন্দারা এখনো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এতে বিষখালী নদীতীরের অরক্ষিত বেড়িবাঁধের পাঁচ কিলোমিটার ভেঙে গিয়ে পানি ঢুকে পড়ে।
ঝড়ের রাতে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও পানির তোড়ে ভেসে গেছে তাঁদের বসতঘরে থাকা মালামাল। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে আছে আমুয়া, আউরা জয়খালী, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, হেতালবুনিয়া, কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঁঠালিয়া, রঘুয়ার চর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়া গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, তিনটি বাজারসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে, বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস।