ঝালকাঠিতে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় রুনু আক্তার (৩৬) নামের এক গৃহবধূকে এসিডে ঝলসে দেওয়ার অপরাধে দুলাল হাওলাদার (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এসিড অপরাধ দমন এক নম্বর ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুলাল হালদার উপজেলার আওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঁঠালিয়ার পূর্ব ছিটকি গ্রামের লাল মিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে রুনু আক্তারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে লাল মিয়া হাসিনা বেগম নামের আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন। বিচ্ছেদ হওয়ার পরও রুনু আক্তারের দুই বছরের মেয়ের খোঁজ-খবর রাখতেন বাবা লাল মিয়া। মাঝেমধ্যে তাঁর মেয়েকে খাবারও কিনে দিতেন। এতে লাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগম ক্ষিপ্ত হন। হাসিনা বেগমের কথায় তাঁর পরিচিত দুলাল হাওলাদার গৃহবধূ রুনু আক্তারের শরীরে এসিড নিক্ষেপের ষড়যন্ত্র করেন।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ দিনগত রাত ১টার দিকে রুনু আক্তার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হন। এ সময় দুলাল হাওলাদার রুনু আক্তারের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন। এতে তাঁর শরীর ঝলসে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন রুনু আক্তারের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে দুলাল হওলাদার ও হাসিনা বেগমসহ চারজনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় এসিড সন্ত্রাস আইনে একটি মামলা করেন।
কাঁঠালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুস সালাম একই বছর ৭ জুন দুলাল হাওলাদার ও হাসিনা বেগমের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। লাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগমের (৪৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস দেন।