জেডিসি পরীক্ষা দিতে পারল না মাদ্রাসাছাত্রী
অপহৃতের পর গণধর্ষণের শিকার হওয়ায় ময়মনসিংহের পাগলা থানা এলাকার এক মাদ্রাসাছাত্রী এবার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা দিতে পারেনি। কিন্তু এ ঘটনায় দায়ীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ৬ অক্টোবর বাড়ির সামনে থেকে অপহৃত ছাত্রীকে তিন সপ্তাহ পর ১ নভেম্বর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয়।
ওই শিক্ষার্থী উদ্ধারের পর গত শুক্রবার তার বাবা বাদী হয়ে পাগলা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন পাগলা থানা এলাকায় উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও গ্রামের বিপ্লব (৩৫), পাশের কলুরগাঁও গ্রামের শারফুল (২৬) এবং ওয়াসির খান (২৮)।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহিনুজ্জামান খান জানান, অপহরণের পর আটকে রেখে তিন সপ্তাহ ধরে গণধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার পর পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
ওসি জানান, অপহরণকারীরা ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্নস্থানে মেয়েটিকে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এর ২৫ দিন পর শুক্রবার ভোরে অপহৃত ছাত্রীকে দাইরগাঁও মাদরাসার সামনের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা। ভোরে স্থানীয়রা পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।
পাগলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, শনিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।