জামিনে বাড়ি ফিরলেন হাসপাতাল থেকে পালানো সেই সাত করোনা রোগী
যশোর আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ‘পালানো’ সেই ১০ করোনা রোগীর মধ্যে সাতজন আজ সোমবার বাড়িতে ফিরেছেন। দ্বিতীয় বারের পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসায় এদিন সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ছাড়পত্র দেয়। এরপর পুলিশ তাদের যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক মাহাদী হাসান জামিন মঞ্জুর করেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ করোনা পজিটিভ রোগী পালানোর ঘটনায় ওই ১০ করোনা রোগীর বিরুদ্ধে গত শনিবার আদালতে মামলা করা হয়। পুলিশের করা ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, আজ সোমবার দুপুরে করোনা নেগেটিভ হওয়া সাতজনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ভারত থেকে ফিরে আসা সাত করোনা রোগী ও স্থানীয় তিন করোনা রোগী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রেড জোন থেকে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ২৬ এপ্রিল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এদের বাড়ি থেকে ‘ধরে এনে’ ফের যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আজ সোমবার যে সাতজনকে আদালতে হাজির করা হয় তারা হলেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জালাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), যশোর সদর উপজেলার পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), রাজবাড়ী সদরের রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আহম্মদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনা শহরের নতুন বাজার খ্রিস্টান গলির শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭), খুলনা শহরের বিকে মেইন রোড এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকানন্দ সরকার (৫২) ও যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯)। এর মধ্যে ফাতেমা ছাড়া সবাই ভারতফেরত।
এছাড়াও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা দক্ষিণ শ্রীপুরের মনোতাষ সরদারের স্ত্রী শেফালি রাণী সরদার (৪০), যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার মৃত ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাসের (৩৭) নামে। এদের মধ্যে রুমা ও প্রদীপ স্থানীয় রোগী।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলায় তিনমাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।