জামায়াতের সাবেক আমির মকবুল আহমাদ আর নেই
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মকবুল আহমাদ আর নেই। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মকবুল আহমাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘চলে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের এক বর্ণালী মুজাহিদ সাবেক আমিরে জামায়াত জনাব মকবুল আহমাদ। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...।
আজীবনের এই দা’য়ী ইলাল্লাহ জামায়াতে ইসলামীর কঠিনতম সময়ের কাণ্ডারী। আমাদের জন্য রেখে গেলেন অনেক শিক্ষা এবং উদাহরণ। রাব্বুল আলামীন তাঁর এই গোলামের তামাম জিন্দেগীর সমস্ত ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে নেকিতে পরিণত করে দিন।
তাঁর নেক আমলগুলো কবুল করুন। শহীদ হিসেবে কবুল করে তাঁকে সম্মানিত করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। মহান রবের কাছে আবেগ ও বুকভরা আকুতি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ এক শোকবার্তায় বলেন, মকবুল আহমাদ বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জনঅধিকার, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি একজন ইসলামী চিন্তাবিদ ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জামায়াতে ইসলামীর দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১০ সালের জুনে জামায়াতের তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জামায়াতে ইসলামীর তৃতীয় আমির হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
মকবুল আহমাদ ১৯৩৯ সালের ৮ আগস্ট ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ওমরাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মরহুম নাদেরুজ্জামান। তাঁরা পাঁচ ভাই ও তিন বোন।