জবরদস্তি করে পেঁয়াজের দাম কমানো বাস্তবসম্মত নয় : তোফায়েল
পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘জবরদস্তি করে দাম কমাও বা গ্রেপ্তার করো বা ক্রসফায়ার দাও—এগুলো কিন্তু বাস্তবসম্মত নয়। এবারের ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষা নিতে হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ, টিন ও চাল বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাকে পেঁয়াজ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। আমরা আশা করি, খুব শিগগির পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কারণ, এ মুহূর্তে প্রায় ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পথে আছে, জাহাজে করে আসতেছে। মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপসহ আরো অনেক কোম্পানি এলসি করেছে। পেঁয়াজগুলো জাহাজীকরণ করা হয়ে গেছে। আজকে ১৫ তারিখ, আশা করি আর ১০ দিনে মধ্যেই সেই পেঁয়াজগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছে যাবে। তখন আমাদের যে চাহিদা, তা পূরণ হবে।’
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমরা প্রথমে আমাদের বার্ষিক চাহিদা কত, তা নিরূপণ করি। আমাদের উৎপাদন কত হয়েছে আর ঘাটতি কত আছে। এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমরা তিন থেকে চার মাস আগেই পদক্ষেপ নিই। হয়তো এবার আমরা সেটা ঠিকমতো অনুমান করতে পারিনি।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যে হবে, এটা আমরা বুঝতে পারিনি। এই বুলবুলের কারণে ক্ষতি হয়েছে। আর ভারতে থেকে আমরা বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু এবার তারা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। তার একটা প্রভাব পড়েছে। কাজেই আমরা আশা করি, যেসব কোম্পানি এলসি করে জাহাজীকরণ করেছে, সেই পেঁয়াজ আসার সঙ্গে সঙ্গে দামটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘এ ছাড়া পৃথিবীর বহু দেশে এবার পেঁয়াজ কম উৎপাদন হয়েছে। আমরা যেহেতু আমদানিনির্ভর দেশ আর সেই আমদানি যদি করা না যায়, তার একটা প্রভাব তো পড়তে পারে। তবে ব্যবসায়ীদের আপন করে নিতে হবে। আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম, তখন খুচরা বিক্রেতা, পাইকারি, আমদানিকারকদের সঙ্গে বসে আপন করে নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।