জন্মদিনের আগেই সুসংবাদ পেলেন সাদ্দাম, ৮ বছরে স্নাতক পাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের জন্মদিন কাল মঙ্গলবার। জন্মদিনের আগেই সুসংবাদ পেলেন তিনি।
গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ব্যাচেলর অব ল (এলএলবি) ডিগ্রির স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। চার বছরের এই কোর্সে উত্তীর্ণ হতে আট বছর সময় লেগেছে তাঁর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী, ছয় বছরে স্নাতক (অনার্স) শেষ করতে হয়। যদিও এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষেত্রে।
তবে সাদ্দাম হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন রয়েছে সে আইন অনুযায়ী আমি অনার্স শেষ করেছি। আমি নিয়মের বাইরে যাইনি। কারণ আমার অনার্স পরীক্ষা হয়েছে ২০১৯ সালে। রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে আমি নিয়মিত মাস্টার্সও করছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একটি আদেশে বলা আছে, আট বছরের বেশি কোনো শিক্ষার্থী ঢাবির নিয়মিত ছাত্র হিসেবে অধ্যয়ন করতে পারবেন না। এই আট বছরের ভেতর ছয় বছরে স্নাতক ও দুই বছরের মধ্যে স্নাতকোত্তর করতে হবে। কিন্তু সাদ্দাম হোসেনের শুধু স্নাতক শেষ করতেই সময় লেগেছে আট বছর।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ২০১১-১২ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ পার হতে তিনি তিন বছর সময় নেন। ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন। চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে তিনি প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর ২০১৬ সালের দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা পাস করতে পারেননি সাদ্দাম হোসেন। ২০১৭ সালের ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এ ধরনের নিয়মের বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান বলেন, সাধারণত নিয়ম হচ্ছে ছয় বছরে অনার্স শেষ করা। কিন্তু এর মধ্যে যদি কেউ শেষ করতে না পারে তবে সে বিভাগীয় চেয়ারপারসন বরাবর আবেদন করে ডিনের মাধ্যমে ডিনস কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরো দুই বছর পেতে পারেন।
এরপর ২০১৮ সালে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেন সাদ্দাম। সেই পরীক্ষায়ও অকৃতকার্য হন সাদ্দাম। সর্বোপরি এই ছাত্রনেতা গত সাত বছরে পাঁচবার ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করেন।
তবে অনুষদের ডিনের বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাদ্দাম হোসেন স্নাতক শেষ করেন। স্নাতকে তাঁর ফলাফল প্রকাশিত হলে তিনি ২.৭১ পান বলে জানা যায়।