ছেলেমেয়ের গলায় ছুরি চালিয়ে ঋণগ্রস্ত বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
রাজধানীর হাজারীবাগের বটতলা এলাকায় নিজের মেয়ে জারিন হাসান রোজাকে (৬) গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবা জাবেদ হাসানের (৪৮) বিরুদ্ধে। একই সময় তিনি ছেলে রিজনকেও (১৩) গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। সবশেষ জাবেদ নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমণ্ডি জোনের সহকারী উপকমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহহিল কাফী ও হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজিদুর রহমান সাজিদ।
সন্ধ্যায় এডিসি আব্দুল্লাহহিল কাফী বলেন, ‘জাবেদ হাসানের একটি মোবাইলের লোড ও কসমেটিকসের দোকান আছে বাসার নিচে। ওপরে নিজেদের দোতলা বাড়িতে তিনি পরিবারসহ থাকেন। প্রথমে মেয়ের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন তিনি। পরে ছেলেরও গলা কাটার চেষ্টা করেন। ছেলেমেয়ে দুজনের গলায় আঘাত করার পর নিজেও নিজের গলায় ছুরি চালান।’
ঘটনার পর স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর মেয়ে রোজাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। ছেলে ও বাবা চিকিৎসাধীন। তাদের দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আব্দুল্লাহহিল কাফী।
জাবেদ হাসান এ ঘটনা কেন ঘটিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হাজারীবাগ থানার ওসি সাজিদুর রহমান সাজিদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জাবেদ হাসানের স্ত্রী এবং পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তাঁর অন্তত ১০ লাখ টাকা ঋণ আছে। এই ঋণ শোধ করার জন্য জাবেদ তাঁর দোকান বিক্রিরও বিজ্ঞাপন দেন।’
সাজিদুর রহমান সাজিদ আরো বলেন, ‘জাবেদ নানাভাবে চেষ্টা করছিলেন টাকাটা শোধ করার। ঢাকায় তাদের একটি নিজের বাড়ি থাকলেও অবস্থা খুব ভালো না। ওই দোতলা বাড়িতেই জাবেদের ভাইবোনেরা থাকে। তবে আর্থিক সংকট ছাড়া আর কোনো কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
জাবেদের স্ত্রী রিমা আক্তারের বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, ‘রিমা সে সময় ভবনের নিচে ছিলেন। ঘটনাটি ভবনের দোতলায় ঘটে। চিৎকার শুনে রিমা পরে ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে দেখেন ততক্ষণে তিনজনই রক্তাক্ত।’
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।