ছুটছে মানুষ, বাড়ছে ভাড়া
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর থেকেই ঘরে না থেকে গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটছে অসংখ্য মানুষ। ফেরি, ট্রলার, বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে যে যার গন্তব্যে ছুটছে। আর এ সুযোগে বাড়ানো হচ্ছে পরিবহন ভাড়াও।
এর মধ্যে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে বরিশাল পর্যন্ত ২৫০ টাকা ভাড়া হলেও নেওয়া হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ভাঙ্গা, মোস্তফাপুর ও ভুরঘাটারও একই অবস্থা। তবুও মানুষ থেমে নেই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেই জনসমাগম এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু তারপরও মানুষ ছুটেছে গ্রামের বাড়িতে। আর এ সুযোগে সব যানবাহনে কয়েকগুণ ভাড়া নিচ্ছে যানবাহন মালিক ও শ্রমিকরা। আবার সড়কে এসব যানবাহন একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছে। উদ্দেশ্য, আগে গিয়ে যাত্রী নামিয়ে আবার ফিরে এসে যাত্রী নিয়ে যাওয়া। এ কারণে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এরই মধ্যে মাদারীপুরের চার উপজেলায় জনজীবনে অচলাবস্থা নেমে এসেছে। জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব দোকান।
এদিকে, অবরুদ্ধ অবস্থার সপ্তম দিনে শিবচর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বিদেশফেরত ও স্বল্প আয়ের মানুষদের মাঝে স্থানীয় সংসদ সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে খাবার ও ওষুধ সহায়তার গতিবেগ বাড়ানো হয়েছে। এক হাজার ৮০০ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, চিনি ও ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের পর আরো দুই হাজার ৬০০ পরিবারের জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবী ৫৭৫ পরিবারের জন্য ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। দরিদ্র-অসহায় দুই হাজার ১৯৬ পরিবারের জন্য ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সাইদুল ইসলাম জানান, মাদারীপুরে আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে ৮৪ জনসহ মোট ৩৭৬ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। আইসোলেশনে রয়েছে তিনজন। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে একজন।