চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ড : দুই বছরেও জমা পড়েনি অভিযোগপত্র
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুই বছর পূর্ণ হলেও এখনো আদালতে জমা পড়েনি অভিযোগপত্র। কবে দাখিল হবে তাও সঠিক তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।
২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টার মোড়ে কেমিক্যাল থেকে ছড়িয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ওয়াহেদ ম্যানশনসহ আশপাশের পাঁচটি ভবন পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারায় ৭২ জন। এর মধ্যে ৬৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসে। যার মধ্যে পুরুষ ৫৮, নারী পাঁচজন ও শিশু চারজন। এ ছাড়া আহত হয় আরও অনেকে।
ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট ১৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারিতে অবহেলার কারণে সৃষ্ট অগ্নিসংযোগের ফলে মৃত্যু ঘটাসহ ক্ষতিসাধনের অপরাধে চকবাজারের ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের ৩২/৩৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. আসিফ চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে হাসান ও সোহেলের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরে ওই বছরের ২ এপ্রিল আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপরে ৭ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাদের সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠান। পরবর্তীতে তারা আদালত থেকে জামিন পান।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই মামলায় দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। এখন তারা আদালত থেকে জামিনে আছেন।
ওসি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এজাহারনামীয় দুইজন সন্দেহভাজন আসামি আছে। যাদের নাম-ঠিকানা এখনও পাইনি। তবে তাদের ঠিকানা না পেলেও অভিযোগপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা মামলার অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।’
এদিকে চুড়িহাট্টায় গিয়ে দেখা গেছে, পুরো এলাকা জুড়ে আবার বসেছে ছোট ছোট কেমিক্যালের গুদাম। সরু গলিতে ঢুকছে সিএনজিচালিত পিকআপ ভ্যান। গলির মুখে খাবার দোকানগুলোতে জ্বলছে চুলাও। এমনকি ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনেই বসেছে অনিরাপদ নানা দাহ্য পদার্থের দোকান।