চিরনিদ্রায় ভাষাসৈনিক মুহম্মদ আবু সিদ্দীক
ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রগতিশীল রাজনীতিক ও সমাজসেবী মুহম্মদ আবু সিদ্দীককে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
আজ বুধবার বাদ আসর কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পাইলট স্কুলমাঠে চতুর্থ দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
আবু সিদ্দীকের ছেলে খালেদ মোসাদ্দেক টুটু জানান, এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বাদ মাগরিব পরীবাগ জামে মসজিদ, আজ বাদ জোহর জেলা শহরের শহীদী মসজিদে দ্বিতীয় এবং দুপুর ৩টায় জঙ্গলবাড়ি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বরেণ্য এ মানুষের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে রাখা হয়।
বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে আবু সিদ্দীক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
১৯৫২ সালে কিশোরগঞ্জে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের অন্যতম ছিলেন ছাত্রনেতা মুহম্মদ আবু সিদ্দীক। কিশোরগঞ্জ মহকুমা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর সভাপতিত্বে সে বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি আজীবন প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মরহুম মুহম্মদ আবু সিদ্দীক বহু শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।