চাচার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার কলেজছাত্রী

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অসুস্থ মায়ের পান নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী (১৮)। সোহেল রানা ওরফে জগলুল (৫৩) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই কলেজছাত্রী এ অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে মেয়েটির চাচা হন।
ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে ওই কলেজছাত্রীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মা বাড়ির পাশের দোকান থেকে পান আনতে তাঁর মেয়েকে পাঠান। রাত ৮টার দিকে দোকান থেকে পান কিনে ফেরার পথে ফাঁকা স্থানে একা পেয়ে অভিযুক্ত জগলুল ওই কলেজছাত্রীর মুখ চেপে ধরে রাস্তার নিচে লিচু বাগানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তার আগে একথা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান জগলুল। ওই কলেজছাত্রী বাড়িতে ফিরে তাঁর পারিবারের লোকজনের কাছে সব ঘটনা খুলে বলেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের লোকজন রাতেই ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ দিতে যায়। কিন্তু বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে তাদের ফিরিয়ে আনেন গ্রামপ্রধান মইনুল, আব্দুল গফুর ও জুলফিক্কার আলী। গভীর রাত পর্যন্ত চলে আপস মীমাংসার চেষ্টা। সালিশ বৈঠকে ইউপি চোয়ারম্যান আফছার আলী, ওয়ার্ড সদস্য সাগর হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর সামাদসহ প্রায় শাতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিল। কিন্তু অভিযুক্ত সোহেল রানা ওরফে জগলুল সালিশে হাজির হননি।
ভিকটিমের বড় ভাই অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে গ্রামপ্রধানরা আমাদের ফিরিয়ে আনেন। এখন তো তারা কোনো বিচারই দিলেন না। এখন বুঝতেছি তারা আসামিকে পালাতে সাহায্য করেছে।’
মেয়েটির বাবা কান্নাজড়িতে কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়েটাকে সমাজে বাঁচিয়ে রাখাই এখন কঠিন হবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আফছার আলী বলেন, ‘গ্রামবাসীকে নিয়ে ওই ঘটনার বিষয়ে আপস মীমাংসার চেষ্টা করে করা হয়েছে। কিন্তু বিবাদী উপস্থিত না হওয়ার কারণে আপোষ মীমাংসা করা যায়নি।’
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’