চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার রেকর্ড পরিমাণ সরিষা চাষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশাল বরেন্দ্র অঞ্চল ও পদ্মা মাহনন্দা তীরবর্তী দিয়াড় অঞ্চলে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যায় ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার বোরো আবাদের আগে চাষিরা ব্যাপকহারে জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনও হবে বাম্পার।
পদ্মা মহানন্দাবেষ্টিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিয়াড় অঞ্চল সেইসঙ্গে বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারহ। হলুদে হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। দিয়াড় ও বরেন্দ্র অঞ্চলের কোনো কোনো মাঠের যেদিকে চোখ যায়, শুধু সরিষা আর সরিষা।
চাষিরা বলেন, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম লাগে। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ফলনও পাওয়া যায়। এবার সরিষা চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলেই রয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ফলন আসবে বিঘাপ্রতি ছয় থেকে সাত মণ। যার বাজার মূল্য ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত বন্যায় মাসকালাইসহ অন্যান্য ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। আবার বন্যার পানি নেমে যাবার পর অন্য ফসল আবাদের সময়ও ছিল না, তাই চাষিরা ঝুঁকেছেন সরিষা চাষের দিকেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার পাঁচ উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার ৯৫৮ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড় হাজার হেক্টর বেশি। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে নাচোলের বরেন্দ্র ভূমির পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে। সরিষা আবাদ বাড়লে তেলজাতীয় পণ্যের আমদানি নির্ভরতা কমবে।’
বরেন্দ্র ও দিয়াড় অঞ্চলের হলুদের বুকে আর কদিন পরেই ফুল থেকে সরিষা দানা হবে। ঘন কুয়াশা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।