‘চাঁদা দিবি, নয়তো ক্রসফায়ার’
‘আমরা ডিবি পুলিশের লোক। এক লাখ টাকা চাঁদা দিবি, নয়তো ক্রসফায়ার ’ এভাবে ভয় দেখিয়ে কলারোয়ার যুগিখালির কলেজছাত্র ওসমান আলীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ ও তাঁর লোকজন।
পরে ওই কলেজছাত্রের বাবা আসগর আলী নিরুপায় হয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা আবু সাঈদকে দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন।
অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের জালালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ৫ আগস্টের। সাঈদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে পরে ওসমান আলী কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় যুগিখালি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল, তাঁর ছেলে সোহাগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদকে। সেই থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে কলারোয়া উপজেলা কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। এর আগে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের হাত কেটে নেওয়ায় আবু সাঈদ সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন। ফলে আবু সাঈদ তাঁর সভাপতির পদও হারান।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনির উল গিয়াস জানান, মামলাটি সিআইডির এএসপি হায়দার আলী তদন্ত করেছেন। এ মামলায় আবু সাঈদকে আজ যুগিখালির পাইকপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আবু সাঈদকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।