ঢাকার সাভারে চাঁদাবাজের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ রাব্বি হোসেন নামের পুলিশের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভারের আনন্দপুর এলাকার বিমান বিল্ডিং জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

এ ঘটনায় সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাভেল মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

আহত কনস্টেবল মোহাম্মদ রাব্বি হোসেন (২৫) টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকছেদপুর উপজেলার পলারগাতি গ্রামের সাব্বির হোসেন (২৫), চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৩৮), লাল মিয়া (২০), মোহাম্মদ আলী (২৮), আব্দুর রহিম বাবু, মোহাম্মদ রাসেদ (২৬), নজরুল ইসলাম খান (৩৮), আল-আমীন (৩০), কামাল হোসেন (৩৩) ও সুজন শিকদার (৪৩)। আসামিরা সাভারের আন্দপুর এলাকার বসবাস করতেন বলে জানা গেছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইকবাল হোসেন নামের বাসের এক সহকারীকে ওই মসজিদের পাশের ছনের বনে ডেকে নিয়ে যান সাব্বির ও জহিরুল। ইকবাল সেখানে গিয়ে দেখেন আরও ১০ থেকে ১২ জন অপেক্ষা করছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইকবালের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মুখে ছেড়া কাপড় গুঁজে দেয়। এরপর ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক ইকবালের পকেট থেকে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। দাবিকৃত চাঁদার বাকি টাকা দুই দিনের মধ্যে না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রাত দেড়টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে এক পথচারীর মোবাইল থেকে হেল্প নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন ইকবাল। রাত ২টার দিকে ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাভার থানা পুলিশ। এ সময় চাঁদাবাজরা ছনের বন থেকে বেড়িয়ে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের মধ্যে সাব্বিরের ছুরিকাঘাতে কনস্টেবল রাব্বি হোসেন মারাত্মকভাবে আহত হন। এ সময় ১০ জনকে আটক করে পুলিশ।  

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, রাতেই মামলা দিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।