চাঁদাবাজি ও প্রতারণা : দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কামরাঙ্গীরচর থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন দর্জি মনির আদালতে হাজির হননি। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার অভিযোগপত্র স্বাক্ষর করে মামলা বদলির আদেশ দেন বিচারক এবং অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে দর্জি মনির আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ আগস্ট চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর থানায় ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মনিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ৭ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিশেষ ক্ষমতা ও দণ্ডবিধি আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ছোট একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন মনির। হঠাৎ করে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। ফেসবুকে যুক্ত হন একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে। পরে নিজের নামের সঙ্গে যোগ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক পদবি। নিজেকে পরিচয় দিতেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবির সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে নিজেকে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দাবি করতেন।
তিনি ও তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন। ২০২১ সালের ৩০ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজারের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনির তার সংগঠনে পদ দেওয়া ও বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করিয়ে দেওয়ার নামে ইসমাইল হোসেনের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মনির ফেসবুকে নিজেকে ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার করে এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সৃষ্টি করেন। এতে ওই এলাকায় দেখা দেয় রাজনৈতিক উত্তেজনা।