চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন সোমবার
পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার শেষে আগামীকাল সোমবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ১৭০টি কেন্দ্রে এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে।
জেলার সিনিয়র নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ বিকেলের মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পৌঁছে যাবে জানিয়ে সিনিয়র নির্বাচনী কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর দুজন করে সদস্য কারিগরি সহযোগিতার জন্য থাকবেন।’
এর আগে, গত ২৩ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নামেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রচারে বাধা, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া, হামলা ও অগ্নিসংযোগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ছাড়াও দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে সরগম হয়ে ওঠে কুর্ণফুলী পাড়ের দুই জনপদ।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর মোহরা, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর) আসনের উপনির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মোট চার লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন ভোটারের মধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ৯২২ জন পরুষ এবং দুই লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন নারী ভোটার রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্য (এমপি) মঈন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনটি শূন্য হয়।