চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে মালবাহী ট্রাক ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জন হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় আরো দুজন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা লোহাগাড়ার আমিরাবাদে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন হলেন বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরের আব্বাস আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮) ও তাঁর ভাই বেলাল হোসেন তাওরাত (২২) ও আবদুর রশিদ (৫০), নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মো. বাদশা (৩৮), কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. আবদুস ছালাম (৭০), মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে পিকআপচালক মো. ফরহাদ (১৫) ও গর্জনিয়া পাহাড় এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে পিকআপের হেলপার মো. সুমন (১৫), লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি মিরিখিল এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪০), বড়হাতিয়া কুমিরাঘোনা এলাকার আবদুল মাবুদের ছেলে মো. রুবেল (২০), আধুনগর লোহার দিঘীরপাড় এলাকার জাফর আহমদের ছেলে জহির উদ্দিন (২৮), উত্তর কলাউজান আবুল হোসেনের ছেলে মো. এনাম (৪৪)। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নবী হোসেন (৪০) নামের একজন মারা গেছেন। নিহত বাকি তিনজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দোহাজারী হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম শহরমুখী মালবাহী ট্রাক ও বিপরীতমুখী যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১০ জন নিহত হন। আহত সাতজনকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আরো তিনজন নিহত হয়। বাকি চারজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হাসান জানান, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ থেকে একটি লেগুনা যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় জাঙ্গালিয়া এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়। আহত হয় আরো চারজন যাত্রী। হতাহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী। ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়। পুলিশ লবণবাহী ট্রাকটি আটক করেছে।
ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থেকে যাত্রীদের উদ্বার করে হাসপাতালে পাঠায়।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, হাসপাতালের আনার পর তিনজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।