চট্টগ্রামে সাব-সেক্টর কমান্ডার শওকত আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও ১ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শওকত আলী বীর প্রতীককে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার বাদ জোহর দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাঁকে চট্টগ্রাম মহানগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের মেজর আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ১১টার দিকে মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শওকত আলী বীর প্রতীকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গার্ড অব অর্নার অনুষ্ঠানে এ বীর প্রতীককে শ্রদ্ধা জানান ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিসহ সেনা সদস্যরা।
এ সময় স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থার দেশপ্রেমিক এ সৈনিক ৬৮ বছর বয়সে মারা যান। কিছুদিন ধরে হার্টের সমস্যাসহ ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তিনি স্ত্রী নাসিমা বেগম, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এম আশরাফ আলী ও শিরিন আরা বেগমের ছোট ছেলে শওকত আলী। বাবা ছিলেন রেলওয়ের চিফ ট্রাফিক ম্যানেজার। তাদের আদি বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কট্টেশ্বর গ্রামে। কিন্তু দেশ বিভক্তের সময় আশরাফ আলীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম। ফলে ছেলে শওকত আলীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরেই।
নার্সারি থেকেই শওকত আলী লেখাপড়া করেন নগরীর সেন্ট প্ল্যাসিড হাই স্কুলে। ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯৬৮ সালে। পরে চট্টগ্রাম গভর্মেন্ট কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
যুদ্ধের সময় ফেনী নদীর নিকটবর্তী এলাকায় অপারেশনের সময় পাকিস্তানি সেনাদের শেল এসে পরে তাঁর সামনে। ফলে একটি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয় তাঁর ডান পায়ের গোড়ালির নিচে। পরে গৌহাটি বেইজ হাসপাতালে অপারেশন করে তা বের করে আনা হয়।