চট্টগ্রামে গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণে সাতজন নিহত, তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাসলাইনের রাইজার বিস্ফোরণে দুই নারী ও এক শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা এলাকার বড়ুয়া ভবনের সামনে কুঞ্জমনি ভবনের নিচতলায় গ্যাসলাইনের রাইজার বিস্ফোরিত হয়ে হঠাৎ বিস্ফোরণে হয়। এতে ভবনের একপাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে আহত হন নারী ও শিশুসহ ১৭ জন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। চিকিৎসক সাতজনকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরো ১০ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই পথচারী।
নিহত সাতজনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। এই দুই পথচারী হলেন নূরুল ইসলাম ও স্কুলশিক্ষিকা এ্যানী বড়ুয়া। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবির।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল এলাকায় হতাহতদের স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন। এ সময় সেখানে কান্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিও রয়েছেন।
নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন ডিসি। তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন বহন করবে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসার ভেতর অর্পিতা বড়ুয়া নামের এক কিশোরী পূজার মোমবাতি জ্বালাতে ম্যাচের কাঠি জ্বালাতেই বিস্ফোরণ হয়। এতে ধারণা করা হচ্ছে, লিক হয়ে কক্ষটি গ্যাসভর্তি হয়ে থাকতে পারে। আগুনের স্পর্শ পেয়েই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।