চট্টগ্রামে ঈদের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব শপিং সেন্টার
ঈদের আগে চট্টগ্রামের বড় ছোট সব শপিং মল বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পুলিশ লাইন সিএমপির কার্যালয়ে প্রশাসনের সঙ্গে এক সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় চট্টগ্রামের প্রায় ৭০টি মার্কেট ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বক্তব্য দেন। পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম, মেট্টোপলিটন ওনার্স ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন মার্কেটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামের প্রায় ৬৮টি মার্কেটের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসে ঈদের আগে সব মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বন্ধ থাকবে চট্টগ্রামের বড় শপিং মল বিপণী বিতান (নিউ মার্কেট), মিমি সুপার মার্কেট, স্যানমার ওশান সিটি, সেন্ট্রাল প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, আমিন সেন্টার, লাকি প্লাজা, আফমি প্লাজা, রেয়াজ উদ্দীন বাজার তামাকুমন্ডি লেইন, আখতারুজ্জামান সেন্টার, টেরী বাজার, তামাকুমন্ডি লেইন, শপিং কমপ্লেক্স, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট, বৃহত্তর বায়েজিদ এলাকা ব্যবসায়ী সমিতি।
ব্যবসায়ীরা জানায়, হকাররা ফুটপাতে বা ভ্যানগাড়িতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে যাতে ব্যবসা না করে সে ব্যাপারে প্রশাসনকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
চিটাগাং মেট্রোপলিটন শপ ও নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘সভায় চট্টগ্রামের ৬৮ মার্কেটের প্রতিনিধিরা একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঈদের আগে তারা শপিং মল বন্ধ রাখবেন।’
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান বলেন, ‘সরকার দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও আমরা বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেইনি। সবাই সম্মিলিতভাবে ঈদের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মল বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সম্মিলিতভাবে সবাই একই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলেন।’
তামাকুমণ্ডি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামসুল আলম বলেন, ‘আগে জীবন তারপর জীবিকা। আমাদের মার্কেটে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার দোকান রয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ দিন ব্যবসা না করলে কিছু হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ব্যব্সা পরে করতে পারব।’
পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে সভা করে জানলাম সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অল্প সময়ে তারা দোকান খুলে ঝুঁকি নিতে চাননা। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বলেছি যারা খোলা রাখতে চান তাদের ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা সরকারি সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলতে হবে। ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলার নিয়ম মানতে হবে। দোকান মার্কেটের প্রবেশ পথে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটারসহ সামাজিক দূরত্বসহ সব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা একমত হয়েছেন রোববার থেকে শপিং মল বন্ধ রাখবেন। আর ফুটপাতে কোনো হকার বিকিকিনি করতে পারবে না। এতে অন্যরা উৎসাহিত হবে।’