চট্টগ্রামে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর গত বুধবার থেকে তাঁরা এ কর্মবিরতি শুরু করে। ফলে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার রাতে চমেক হাসপাতাল ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ওসমান গনি, চমেক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াসিম উদ্দীন রানা, ছাত্রনেতা তৌফিকুর রহমানসহ পাঁচজন আহত হয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এ কর্মবিরতি পালন করছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. তাজওয়ার রহমান জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের নেতৃত্বে বহিরাগতদের হামলা হয়েছে। পরে চমেক ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান চিকিৎসকরা। বুধবার থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের কয়েক দফা বৈঠকের পরও কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ডা. তাজওয়ার রহমান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে রোগীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এমনিতে রোগী কম। আগে প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকত। করোনাকালে অর্ধেকের কম রোগী ভর্তি আছে। করোনা রোগীদের জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা কাজ করছেন। চমেক হাসপাতালে তিন শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন।
গত জুলাই মাসেও ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে কর্মবিরতি পালন করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।