চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করে জনদুর্ভোগ থেকে জনগণকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন।
আজ রোববার দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অনুরোধ জানান জিওসি।
নগরীর হল টোয়েন্টিফোর কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুরুল ইসলাম। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা সংস্থার চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনীর জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন জানান, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সিডিএ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
সাইফুল আবেদীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে এ প্রকল্পের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সবাই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি হবে।’
মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে প্রকল্পের কাজ অতিদ্রুত সম্পন্ন করে ৩৪ ব্রিগেড জনদুর্ভোগ থেকে চট্টগ্রামের মানুষকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন এ সংস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্নস্থানে তিন হাজার ১৭৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। যার সুফল পুরোটা না হলেও আংশিকভাবে পেতে শুরু করেছে নগরবাসী। গত ৬ জুন নগরীর কোথাও কোথাও পানি উঠেছে। এসব পানি দুই ঘণ্টার মধ্যেই নেমে গেছে।