ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারত অনুতপ্ত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারত অনুতপ্ত হয়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ড. মোমেন। তুরস্কে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজ সকালেই তিনি দেশে ফিরে অফিসের কাজে যোগ দেন।
গত সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এলসির মাধ্যমে স্থলবন্দরে আনা পেঁয়াজও খালাস করতে দেয়নি ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্থলবন্দরগুলোতে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে পেঁয়াজবাহী শত শত ট্রাক।
এদিকে আগাম ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় অস্থির হয়ে ওঠে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার। একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। গত বছরও একই সময়ে ভারত বাংলাদেশে কোনো ধরনের আগাম ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় ৩০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বেড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধের বিষয়ে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘কোনো ধরনের আগাম ঘোষণা ছাড়া ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বেশ চাপে পড়ে গেছি। ভারতের এ কাজের পেছনে তাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা আমার জানা নেই। এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে কিনে আমাদের ব্যবসায়ীরা যেসব পেঁয়াজ স্থলবন্দরগুলোতে এনেছেন, সেগুলোও খালাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটি ডব্লিউটিওর রুলসের লঙ্ঘন কিনা, সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।’
এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ না করতে ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও তা আগেই জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। সর্বশেষ স্থলবন্দরগুলোতে খালাসের অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজগুলো দ্রুত ছেড়ে দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও স্থলবন্দরে আটকে থাকা পেঁয়াজগুলো এখনো খালাস করতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।