ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের স্থাপনা, ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে সোমবার
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর তাণ্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সংশ্লিষ্ট দুই রেঞ্জ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ওই দুই রেঞ্জ কর্মকর্তা সরেজমিন বনাঞ্চল ঘুরে দেখে সোমবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিবেন। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মূলত জানা যাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ।
তবে বনবিভাগের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্যমতে, দুবলার চরে বাঁশ, গোলপাতা, হোগলা ও পলিথিন দিয়ে তৈরি জেলেদের অস্থায়ী কিছু ঘরের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বনবিভাগের বিভিন্ন স্টেশন ও ক্যাম্পের পুরানো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মোংলার সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বৈদ্যমারী ক্যাম্প এলাকায় বেশ কিছু রেইনট্রি ও শিরিষ গাছ উপড়ে পড়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বনের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে ইতিমধ্যে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. শাহিন কবির ও শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান জানানো সম্ভব হবে।
প্রাথমিক খোঁজ খবরে যা জানা গেছে, বুলবুলের আঘাতে বনের কটকা, হাড়বাড়িয়া ও করমজলের ফুট ট্রেইলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কটকা ও ভোলা টহল ফাঁড়িসহ বেশ কয়েকটি জায়গার জেটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কটকা, করমজলসহ গহীন বনের অভ্যন্তরে টহল ক্যাম্পের ঘরের চাল ও বেড়ার আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে তেমনটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অনেকটা আকস্মিকই রক্ষা পেয়েছে সুন্দরবন। এছাড়া ঝড়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিছুটা ক্ষতি হয়েছে গাছপালার। বনবিভাগের সতর্কতাবস্থার জন্যই বন ও বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষতিসাধন থেকে রেহাই মিলেছে।