‘ঘুষের টাকাসহ’ আটক সার্ভেয়ার ওয়াসিমকে থানায় হস্তান্তর
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ঘুষ লেনদেনের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বুধবার ঘুষের টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার ওয়াসিম খানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে র্যাব।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের র্যাব ১৫-এর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
উইং কমান্ডার জানান, কক্সবাজারে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকার বিপুল জমি অধিগ্রহণ করে। ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার সময় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন জমির মালিকরা। ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কিছু অসাধু কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে এভাবে ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তদের হয়রানি করে আসছিলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি করে র্যাব।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া ও তারাবনিয়ারছড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার তিন সার্ভেয়ারের বাসা থেকে ৯৩ লাখের বেশি টাকাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও নথিপত্র জব্দ করে র্যাব। এ সময় সার্ভেয়ার ওয়াসিম খানকে আটক করা হয়। তবে অপর দুই সার্ভেয়ার ফরিদ উদ্দিন ও মো. ফেরদৌস খান পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মামলা করে সার্ভেয়ার ওয়াসিম খানকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক সার্ভেয়ার ফরিদ উদ্দিন ও ফেরদৌস খানের পাশাপাশি সিন্ডিকেট সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা আজিম আহমেদ।