ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক বৈজ্ঞানিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, ‘মাস্ক ব্যবহার করলেই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক বৈজ্ঞানিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত। ঘরে তৈরি মাস্ক আমরা ব্যবহার করতে পারি। ঘরের পুরোনো কাপড় দিয়েও তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক তৈরি করে পরা যায়।’
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে নাসিমা সুলতানা একথা বলেন। তিনি বলেন, এ ছাড়া মাস্ক ব্যবহার করে অর্থ সাশ্রয় করা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘একজন মাস্ক ব্যবহার করলে তাঁর অর্থনৈতিক উপকার হয় তিন হাজার থেকে ছয় হাজার ইউএস ডলার।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এক টাকা মাস্কের পেছনে খরচ করলে আমরা এক হাজার টাকার উপকার পাবো। কারণ এই মাস্ক ব্যবহার করে আমি আমার রোগ প্রতিরোধ করতে পারব।’
নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, ‘এখনো দেখা যাচ্ছে, অনেক মানুষ চায়ের দোকানে, যেকোনো আড্ডায় অনেকেই মাস্ক পরিধান করছেন না। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মাস্ক একটি প্রধান অস্ত্র। আমরা কখনোই এটিকে অবহেলা করতে পারি না। এটি একটি প্রধানতম নিয়ামক এই সংক্রমণকে প্রতিরোধ করার। তার সঙ্গে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা, ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, তা না পারলে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৪৬ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো দুই হাজার ৬৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫৫ হাজার ১৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৫১০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ১০৩ জনের। এর মধ্য থেকে দুই হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা গত ২৪ ঘণ্টায় মোট পরীক্ষার ২১ দশমিক ৫৪ ভাগ শনাক্ত হয়েছে।