গ্রেপ্তারের ৩৬ ঘণ্টা পর আদালতে আসামি, র্যাব কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা
গ্রেপ্তার পর নির্দিষ্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে না পারায় মামলার বাদী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেছেন আদালত।
গত ১ নভেম্বর রাত ১০টায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে র্যাব এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের ১৫ ঘণ্টা পর বাড্ডা থানায় মামলা হয়। আর আসামিকে আদালতে হাজির করা হয় ৩ নভেম্বর বিকেল ৩টায়। র্যাব সেই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে।
আজ রোববার সেই রিমান্ড শুনানির সময় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী যথাসময়ে আসামিকে আদালতে হাজির না করায় র্যাব কর্মকর্তা মো. রহমত উল্লাহকে ভৎসনা করেন। এ সময় বিচারক র্যাব কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারক মামলার বাদীকে বলেন, ‘র্যাব পারলে তো আসামি ধরেই সাজা দিয়ে দেয়! কোনো আইন মানে না। আসামি গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করার বিধান থাকলেও র্যাব আসামিকে যথাসময়ে হাজির করেনি। র্যাব কর্মকর্তা ২৪ ঘণ্টার অনেক পরে আসামিকে আদালতে হাজির করেছেন। যা আইন বহির্ভূত।’
এ সময় বিচারক আরও বলেন, ‘র্যাব আসামি ধরে কখন মিডিয়াতে আনবে সেটা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে।’
পরবর্তীতে বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ডের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর প্রতারণার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন আসামিকে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। বিচারক ওই দিন রিমান্ড শুনানি না করে আজ রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
এজাহারে বলা হয়, কয়েকজন ভিকটিমের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ইপিসি গ্লোবাল লিমিটেড কোম্পানিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে অনলাইনে প্রতারণার কিছু প্রচারপত্র (লিফলেট), বিরিয়ানির মসলা, ধনিয়ার গুড়া, খিচুরি মসলা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর র্যাব কর্মকর্তা মো. রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪১৮/৪২০ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০/২৩/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।