গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবলীগ নেতার মৃত্যু
গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মোল্লা (২৬) মারা গেছেন। খুলনা শহরের হেলথ কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, এ হামলায় অভিযুক্ত রাসেলের খালু কাজী মাহামুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাসেল মোল্লা সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর কলাবাগান এলাকার মিশকাত মোল্লার ছেলে।
রাসেলের বাবা মো. মিশকাত মোল্লা বলেন, ‘গত ২৯ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় রাসেল। গোপালগঞ্জ শহর থেকে ঘোষেরচর কলাবাগান এলাকার বাসায় ফেরার পথে রাসেলের আপন খালু কাজী মাহামুদ তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মাস্টারপাড়া এলাকায় এ হামলা চালান। আমাদের সঙ্গে কাজী মাহামুদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও কয়েকবার মাহামুদ লোকজন নিয়ে আমার পরিবারের ওপর হামলা চালান। এরই জের ধরে মাহামুদ তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ছেলে রাসেলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন।
মিশকাত মোল্লা আরো জানান, ঘটনার দিন রাতেই মারাত্মক আহত অবস্থায় রাসেলকে প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাঁকে খুলনা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে গত ৩০ জুলাই রাতেই রাসেল মোল্লার মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে কাজী মাহামুদকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাত আরো পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। এর পরই এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত কাজী মাহামুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই খালু কাজী মাহামুদ তাঁর ভাগ্নে রাসেল মোল্লাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন বলে জানা গেছে। এরপর খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাসেল। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহেদ মাহামুদ বাপ্পী বলেন, ‘রাসেলের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে আমরা গত রোববার প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছি। এ ছাড়া ওই দিন জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় অনতে হবে।’