গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় সংঘর্ষ, তদন্ত কমিটি গঠন
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তারকে সভাপতি নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তিম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে কয়েকদিন ধরে ফোনে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এ ঘটনার জের ধরে আজ দুপুরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষার্থীসহ আরো কয়েকজন অন্তিমের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী ফারহান সিফাত, ফরহাদ হোসেন, প্রিতুল হোসেন, সাইফ আল কবির, বাদশাহসহ কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়।
এদের মধ্যে আহত ফারহান সিফাতকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চার শিক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, ‘এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম পুলিশ মোতায়েনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তারকে সভাপতি করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রেহেনা হলের প্রভোস্ট মো. রোকনুজ্জামান, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম, এআইএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোলাইমান হোসাইন, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নেসারুল হক, আইন বিভাগের সভাপতি মানসুরা খানম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. হাসিবুর রহমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো. রকিবুল ইসলাম এবং কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।