গৃহহীনদের মধ্যে ২৬২টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করলেন পরিবেশমন্ত্রী
গৃহহীন, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে ২৬২টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গৃহহীন, অসহায় ও দুস্থ জনগণের জন্য বাসস্থান নির্মাণে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সব প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না।’
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সরকারি বিভিন্ন সংস্থার চারটি প্রকল্পের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার গৃহহীন, অসহায় ও দুস্থদের জন্য তিন কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৬২টি ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী। বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আল ইমরান এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দুই কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২২৩টি ঘর, গ্রামীণ দরিদ্র গৃহহীন জনগোষ্ঠীর জন্য দুর্যোগ সহনীয় গৃহনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরের টিআর-কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ থেকে ৭১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৪টি ঘর, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রবিদাস সম্প্রদায়ের জন্য ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০টি পাকা ঘর এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের অর্থায়নে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০ লাখ তিন হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত নির্মিত পাঁচটি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘরের চাবি বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোয়েব আহমদ, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধূরী, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ এ কে এম হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর প্রমুখ।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় এক হাজার ৮৭৯ জন চা শ্রমিককে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা হারে মোট ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।